ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবীনগর সার্বজনীন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মুখপাত্র হলেন জামাল হোসেন পান্না গোপালপুর দক্ষিণ কবরস্থানের উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন ঈদে বাড়ি ফেরার পথে মেঘনায় প্রাণ গেল বউ-শাশুড়ির নবীনগরে ঈদের জামাত শেষে মুসল্লীদের সাথে ইউএনও রাজীব চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময় তরুণ সমাজকে দক্ষ ও আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করতে সার্বজনীন গ্রুপের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নবীনগরে সার্বজনীন গ্রুপের ফ্রি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের পঞ্চম ক্লাস সম্পন্ন নবীনগরে কিন্ডারগার্টেন বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪: কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত নবীনগরে বাঁশই ভরসা’-সাঁকো ভেঙ্গে পড়ায় থমকে আছে সাত গ্রামের জীবনযাত্রা ইউনিলিংক এডুকেশনের শিক্ষার্থীদের জাপান যাত্রা: ভাষা শিক্ষার সফল ফলাফল নবীনগরে সিদীপ সমৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় বার্ষিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
নোটিশ :

✍️সংবাদদাতা আবশ্যক👉'দেশ বিদেশ নিউজ ২৪.কম' এর জন্য জরুরী ভিত্তিতে দেশের প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে।আগ্রহীরা মেইলে যোগাযোগ করুন।

আ’লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আরো ৪৯ জন গ্রেফতার

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ০৮:০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, মেয়র, সংসদ সদস্যসহ ৪৯ আসামিকে একযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ১৪৪ টি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে এসব মামলা হয়। তারা সবাই কারাগারে আটক আছেন।

বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেম ও শরীফুর রহমানের আদালতে তাদের উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, কারাগারে আটক ৪৯ ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আবেদন করে পুলিশ। এজন্য তাদেরকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজিরা করা হয়। এ সময় আদালতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশের লালবাগ জোন ও ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগ। পরে তাদের উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর শুনানি শুরু হয়।

যাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক,সাবেক নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার সাবেক পরিচালক কমোডর মনিরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফী, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, বহিষ্কৃত সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বাড্ডা থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার পিন্টু ও পুলিশের সাবেক ডিসি মশিউর রহমান।

এর মধ্যে আতিকুলকে ১৩ মামলায়, আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ১৬ মামলায়, কামাল আহম্মেদকে ১২ মামলায়, পলককে ১০ মামলায়, আনিসুলকে ৯ মামলায়, শাহজাহান খানকে ৬ মামলায়,সালমান এফ রহমানকে চার মামলায়, দিপু মনিকে পাঁচ মামলায়, মেনন ও রাজ্জাককে তিন মামলায়, ব্যারিস্টার সুমন, সাদেক, হাজী সেলিম এবং জিয়াউলের দুটি করে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

ট্যাগস

নবীনগর সার্বজনীন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মুখপাত্র হলেন জামাল হোসেন পান্না

আ’লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আরো ৪৯ জন গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৮:০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, মেয়র, সংসদ সদস্যসহ ৪৯ আসামিকে একযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ১৪৪ টি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে এসব মামলা হয়। তারা সবাই কারাগারে আটক আছেন।

বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেম ও শরীফুর রহমানের আদালতে তাদের উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, কারাগারে আটক ৪৯ ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আবেদন করে পুলিশ। এজন্য তাদেরকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজিরা করা হয়। এ সময় আদালতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশের লালবাগ জোন ও ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগ। পরে তাদের উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর শুনানি শুরু হয়।

যাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক,সাবেক নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার সাবেক পরিচালক কমোডর মনিরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফী, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, বহিষ্কৃত সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বাড্ডা থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার পিন্টু ও পুলিশের সাবেক ডিসি মশিউর রহমান।

এর মধ্যে আতিকুলকে ১৩ মামলায়, আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ১৬ মামলায়, কামাল আহম্মেদকে ১২ মামলায়, পলককে ১০ মামলায়, আনিসুলকে ৯ মামলায়, শাহজাহান খানকে ৬ মামলায়,সালমান এফ রহমানকে চার মামলায়, দিপু মনিকে পাঁচ মামলায়, মেনন ও রাজ্জাককে তিন মামলায়, ব্যারিস্টার সুমন, সাদেক, হাজী সেলিম এবং জিয়াউলের দুটি করে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।