
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সম্পত্তির লোভে নাজমুল হোসেন নামে আনুমানিক ৩৭ বছরের এক ব্যক্তিকে তার বসতঘরে প্রেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কাচারি মোড় সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মৃত আব্দুল মোতালেবের বড় ছেলে নাজমুল হোসেনের অভিযোগ, গতকাল রাত আনুমানিক পৌনে এগারোটার দিকে তার মামা হালিম মুক্তার ও ছোট ভাই আজমল হোসেন পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার উদ্যেশে ঘরে প্রেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। এসময় বাইরে থেকে দরজা আটকানো থাকায় তিনি প্রাণ বাচাতে জোড়ে আর্তচিৎকার দিতে থাকলে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করেন। ততক্ষণে ঘরে থাকা মালামাল, সিলিংয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এই ঘটনায় নাজমুল হোসেন নবীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আগুন লাগানোর আগে তার মামা ও ছোট ভাই আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজন লোক সাথে নিয়ে তার বসতঘরের সামনে এসে তাকে উদ্দ্যেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে। সেমসয় তিনি কোন কথার উত্তর না দিয়ে ঘরে চুপটি করে বসে থাকেন। ঠিক সেসময়ে পরিস্থিতি শান্ত দেখে ছোট ভাই ও মামা মিলে ঘরের চারদিকে প্রেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। আগুনে ঘরে থাকা মালামাল ও তার শরিরের অনেক অংশ পুড়ে গেছে। নাজমুল হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন, এই ঘটনায় তার প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের কাছে নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরে জানান, তার বাবা মৃত্যুর পর মামার যোগসাজশে ছোট ভাই আজমল মাকে ম্যানেজ করে তার ভাগের অংশ নিতে বেপরোয়া হয়ে উঠে।
খবর শুনে নাজমুলের ছোট বোন শশুরবাড়ি ইব্রাহিমপুর গ্রাম থেকে ছুটে আসেন। এই দৃশ্য দেখে তিনি মা,ভাই ও মামার প্রতি ঘৃনা প্রকাশ করেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে জানান, তাদের জায়গা জমি ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন নিজেদের মধ্যে বিরোধ ছিলো। যার কারনে নাজমুলের মা তার ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে নারায়নপুর গ্রামে তার মামার বাড়িতে বসবাস করছেন।
স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন আগে নাজমুলের পৈতৃক অংশের বাড়ির পাশের জমিটুকু তাকে না জানিয়ে যার মুল্য এক কোটি টাকার উপরে সেটি মামার যোগসাজশে ছোট ভাই ও মা মিলে বিক্রি করে দিয়েছেন। অপরদিকে পৈতৃক সম্পত্তির বাড়ির অংশের দিকে তাদের কু-দৃষ্টি পড়ায় তাকে মেরে ফেলতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।
এই বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান,আমি খবরটা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।