ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবীনগর সার্বজনীন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মুখপাত্র হলেন জামাল হোসেন পান্না গোপালপুর দক্ষিণ কবরস্থানের উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন ঈদে বাড়ি ফেরার পথে মেঘনায় প্রাণ গেল বউ-শাশুড়ির নবীনগরে ঈদের জামাত শেষে মুসল্লীদের সাথে ইউএনও রাজীব চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময় তরুণ সমাজকে দক্ষ ও আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করতে সার্বজনীন গ্রুপের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নবীনগরে সার্বজনীন গ্রুপের ফ্রি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের পঞ্চম ক্লাস সম্পন্ন নবীনগরে কিন্ডারগার্টেন বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪: কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত নবীনগরে বাঁশই ভরসা’-সাঁকো ভেঙ্গে পড়ায় থমকে আছে সাত গ্রামের জীবনযাত্রা ইউনিলিংক এডুকেশনের শিক্ষার্থীদের জাপান যাত্রা: ভাষা শিক্ষার সফল ফলাফল নবীনগরে সিদীপ সমৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় বার্ষিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
নোটিশ :

✍️সংবাদদাতা আবশ্যক👉'দেশ বিদেশ নিউজ ২৪.কম' এর জন্য জরুরী ভিত্তিতে দেশের প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে।আগ্রহীরা মেইলে যোগাযোগ করুন।

শীতকালে কেন আসে এবং কেন শীত লাগে?

  • মোশাররফ হোসাইন
  • আপডেট সময় ০২:৫০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪০৮ বার পড়া হয়েছে

আচ্ছা, শীতকালেই কেন শীত লাগবে আর গ্রীষ্মকালে গরম? মনে হতে পারে এটা আবার কেমন প্রশ্ন, এর উত্তর তো সোজা! ‘গ্রীষ্মকালে পৃথিবী সূর্যের কাছে থাকে, তাই গরম; আর শীতে থাকে দূরে, তাই তখন ঠাণ্ডা।’ আবার কেউ মজা করে বলবে- ‘বছর ঘুরে শীতকাল যখন আসে তখন সূর্যমামা ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই শীতকালে তার তেজ কিছুটা কম থাকে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে সে বেশ রেগে থাকে!’

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো পৃথিবী সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে। এ ঘোরার সময় পৃথিবী সূর্যের দিকে সামান্য হেলে থাকে। পৃথিবী আবার তার নিজ অক্ষেও ঘোরে, তাই বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ কখনও সূর্যের কাছে চলে যায়, আবার কখনও উত্তর গোলার্ধ। যখন যে অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন সে অংশ খাড়াভাবে বেশিক্ষণ ধরে সূর্যের আলো ও তাপ পায়। আর তখন সেই অংশে বেশি গরম পড়ে। এসময় থাকে গ্রীষ্মকাল।

একটা অংশ সূর্যের কাছে থাকা মানে তার উল্টো দিকের অংশটা থাকবে সূর্য থেকে দূরে। আর দূরে থাকলে সেই অংশটা কম আলো ও তাপ পাবে। তখন সেই অংশে থাকে শীতকাল। যেমন বাংলাদেশে যখন গ্রীষ্মকাল, অস্ট্রেলিয়ায় তখন শীতকাল। আবার ওদের যখন গ্রীষ্ম, তখন আমাদের থাকে শীত। কারণ অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ গোলার্ধের দেশ ও বাংলাদেশ উত্তর গোলার্ধের দেশ। আরেকটি ব্যাপার হলো, গ্রীষ্মকালে সূর্যের আলো পৃথিবীর ওই অংশে খাড়াভাবে পড়ার কারণে সেই আলো চারদিকে খুব বেশি একটা ছড়িয়ে যায় না। ফলে ভূপৃষ্ঠের কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুতে পড়া তাপের পরিমাণ বাড়ে। ফলে ভূপৃষ্ঠ আরও দীর্ঘ সময় ধরে উত্তপ্ত হয়। আর গ্রীষ্মকালে দিন হয় বড় আর রাত ছোট। তাই গ্রীষ্মকালে গরমের পরিমাণ বাড়ে।ঠিক বিপরীত ঘটনা ঘটে শীতকালে। তখন পৃথিবীর ওই অংশে সূর্যের আলো বাঁকা বা তীর্যকভাবে পড়ে, আর এই আলো চারদিকে ছড়িয়েও পড়ে বেশি। ফলে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুতে পড়া তাপশক্তির পরিমাণ গ্রীষ্মের তুলনায় বেশ কমে যায়। আর শীতকালে দিন হয় ছোট ও রাত বড়। তাই শীতকালে আমাদের ঠাণ্ডা লাগে। আরেকটি ব্যাপার হলো, মানুষ হলো উষ্ণ রক্তের প্রাণী। কারণ তার শরীরে সবসময় তাপ উৎপন্ন হয়। আমাদের দেহের তাপমাত্রা সবসময়ই একটু বেশি থাকে। কিন্তু শীতকালে আমাদের দেহ অনেকটাই তাপ হারায়, এ হারানোটা অনুভব করি বলেই আমাদের শীত লাগে।

লেখক, মোশাররফ হোসাইন
উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সরাইল।

ট্যাগস

নবীনগর সার্বজনীন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মুখপাত্র হলেন জামাল হোসেন পান্না

শীতকালে কেন আসে এবং কেন শীত লাগে?

আপডেট সময় ০২:৫০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আচ্ছা, শীতকালেই কেন শীত লাগবে আর গ্রীষ্মকালে গরম? মনে হতে পারে এটা আবার কেমন প্রশ্ন, এর উত্তর তো সোজা! ‘গ্রীষ্মকালে পৃথিবী সূর্যের কাছে থাকে, তাই গরম; আর শীতে থাকে দূরে, তাই তখন ঠাণ্ডা।’ আবার কেউ মজা করে বলবে- ‘বছর ঘুরে শীতকাল যখন আসে তখন সূর্যমামা ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই শীতকালে তার তেজ কিছুটা কম থাকে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে সে বেশ রেগে থাকে!’

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো পৃথিবী সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে। এ ঘোরার সময় পৃথিবী সূর্যের দিকে সামান্য হেলে থাকে। পৃথিবী আবার তার নিজ অক্ষেও ঘোরে, তাই বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ কখনও সূর্যের কাছে চলে যায়, আবার কখনও উত্তর গোলার্ধ। যখন যে অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন সে অংশ খাড়াভাবে বেশিক্ষণ ধরে সূর্যের আলো ও তাপ পায়। আর তখন সেই অংশে বেশি গরম পড়ে। এসময় থাকে গ্রীষ্মকাল।

একটা অংশ সূর্যের কাছে থাকা মানে তার উল্টো দিকের অংশটা থাকবে সূর্য থেকে দূরে। আর দূরে থাকলে সেই অংশটা কম আলো ও তাপ পাবে। তখন সেই অংশে থাকে শীতকাল। যেমন বাংলাদেশে যখন গ্রীষ্মকাল, অস্ট্রেলিয়ায় তখন শীতকাল। আবার ওদের যখন গ্রীষ্ম, তখন আমাদের থাকে শীত। কারণ অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ গোলার্ধের দেশ ও বাংলাদেশ উত্তর গোলার্ধের দেশ। আরেকটি ব্যাপার হলো, গ্রীষ্মকালে সূর্যের আলো পৃথিবীর ওই অংশে খাড়াভাবে পড়ার কারণে সেই আলো চারদিকে খুব বেশি একটা ছড়িয়ে যায় না। ফলে ভূপৃষ্ঠের কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুতে পড়া তাপের পরিমাণ বাড়ে। ফলে ভূপৃষ্ঠ আরও দীর্ঘ সময় ধরে উত্তপ্ত হয়। আর গ্রীষ্মকালে দিন হয় বড় আর রাত ছোট। তাই গ্রীষ্মকালে গরমের পরিমাণ বাড়ে।ঠিক বিপরীত ঘটনা ঘটে শীতকালে। তখন পৃথিবীর ওই অংশে সূর্যের আলো বাঁকা বা তীর্যকভাবে পড়ে, আর এই আলো চারদিকে ছড়িয়েও পড়ে বেশি। ফলে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুতে পড়া তাপশক্তির পরিমাণ গ্রীষ্মের তুলনায় বেশ কমে যায়। আর শীতকালে দিন হয় ছোট ও রাত বড়। তাই শীতকালে আমাদের ঠাণ্ডা লাগে। আরেকটি ব্যাপার হলো, মানুষ হলো উষ্ণ রক্তের প্রাণী। কারণ তার শরীরে সবসময় তাপ উৎপন্ন হয়। আমাদের দেহের তাপমাত্রা সবসময়ই একটু বেশি থাকে। কিন্তু শীতকালে আমাদের দেহ অনেকটাই তাপ হারায়, এ হারানোটা অনুভব করি বলেই আমাদের শীত লাগে।

লেখক, মোশাররফ হোসাইন
উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সরাইল।