
ফিফপ্রোর বর্ষসেরা একাদশে নেই লিওনেল মেসি!
বিস্ময় চিহ্ন কেন, এই প্রশ্ন করতেই পারেন। ২০০৬ সালের পর যে এই প্রথম ফুটবলারদের ভোটে নির্বাচিত বছরের সেরা একাদশে নেই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। ২০০৭ সালে থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৭ বছর একাদশে মেসির নামটা ধ্রুবক হয়েই ছিল ফিফপ্রোর বর্ষসেরা বিশ্ব একাদশে। ২০২৪ সালে এসে ভাঙল সেই ধারা।
সেরা একাদশে নেই মেসির ‘চির প্রতিদ্বন্দ্বী’ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও। অবশ্য মেসি ও রোনালদো ২৬ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নির্বাচিত হয়েই শিরোনাম হয়েছিলেন সপ্তাহখানেক আগে। ইউরোপের বাইরের লিগে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে শুধু মেসি-রোনালদোই জায়গা পেয়েছিলেন সংক্ষিপ্ত তালিকায়।
আজ প্রকাশিত পেশাদার ফুটবলারদের বৈশ্বিক সংগঠন ফিফপ্রোর বর্ষসেরা একাদশে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দেরই নিরঙ্কুশ আধিপত্য। চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী রিয়ালের ৬ জন ও টানা চতুর্থবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জেতা ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড় আছেন ৪ জন। একাদশে জায়গা পাওয়া অন্য খেলোয়াড়টি লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক।
রিয়ালের ছয় খেলোয়াড়ের মধ্যে আছেন ২০২৩-২৪ মৌসুমে শেষে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া টনি ক্রুসও। রিয়ালের অন্য পাঁচজন দানি কারভাহাল, আন্তনিও রুডিগার, জুড বেলিংহাম, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এঁদের মধ্যে এমবাপ্পে অবশ্য বছরের প্রথম ভাগে খেলেছেন ফরাসি ক্লাব পিএসজির হয়ে। সিটির চারজন এদেরসন, কেভিন ডি ব্রুইনা, আর্লিং হলান্ড ও ব্যালন ডি’অরজয়ী রদ্রি।
এঁদের মধ্যে কারভাহাল, রুডিগার, এদেরসন ও রদ্রি প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছেন ফিফপ্রোর বর্ষসেরা একাদশে।
ছেলেদের একাদশের মতো আজ মেয়েদের বর্ষসেরা একাদশও ঘোষণা করেছে ফিফপ্রো। ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে বর্ষসেরা একাদশ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বিশ্বের ৭০টি দেশের ২৮ হাজারের বেশি পেশাদার ফুটবলার। ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত যারা অন্তত ৩০টি ম্যাচ খেলেছেন তারাই বিবেচিত হয়েছেন সেরা একাদশের এই নির্বাচনে।