
ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ভারতে মহা ধুমধামের সাথে পৌরানিক দেবতা হিসেবে হনুমান বিগ্রহ তৈরী করে তা পূজার প্রচলন থাকলেও বাংলাদেশে কোথাও হনুমান পূজার প্রচলন সেভাবে তৈরি হয়নি।
যে কারনে এই পুজার প্রতি এই দেশের সনাতনীদের বাড়তি কৌতূহল রয়েছে৷ প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনো হাতেগোনা দুয়েক জায়গায় হনুমান পুজার আয়োজন চোখে পড়ে। যার প্রমান মিলেছে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার গঙ্গানগর ঋষি পাড়ায়। সেখানে মারুতী সংঘের উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জার জলকানিতে ২ দিন ব্যাপী হনুমান পুজার আয়োজন করা হয়।
গঙ্গানগর প্রাইমারী স্কুল চত্বরে গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া সুদৃশ্য বৃহতপ্যান্ডেলে বিশাল উচ্চতার নির্মিত হনুমানের পূজা দেখতে ভীড় জমায় হাজারো মানুষ। মারুতী সংঘের ব্যাতিক্রমী এই আয়োজন নজর কেড়েছে এলাকাবাসীর।
মারুতী সংঘের সাধারণ সম্পাদক জগত ঋষি জানায়, এ নিয়ে ৩য় বারের মতো এই পুজার আয়োজন করেছে তারা। পুজা উপলক্ষে বিভিন্ন পসরার দোকানীরা মেলা বসিয়েছে পুজা প্রাঙ্গণে । মনোমুগ্ধকর সাজ ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে পূজা প্যান্ডেল। সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও পাশ্ববর্তি বিভিন্ন জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সকল ধর্মের হাজার হাজার কৌতুহলী লোকজন মেলা, পূজা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় পুজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দৃষ্টিনন্দন এই পুজা দেখতে ছুটে আসেন মাধবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক। এসময় আয়োজক কমিটির পক্ষ হতে সাবেক পৌর মেয়রকে অবহেলিত ঋষি পাড়ায় বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের জন্য সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ক্রেস্ট প্রদানকালে স্থানীয় কাউন্সিলর বকুল ঋষি সহ উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সর্দার বিরেন্দ্র চন্দ্র ঋষি, মারুতী সংঘের উপদেষ্টা নকুল চন্দ্র ঋষি সহ আরো অনেকে।
ক্রেস প্রদান শেষে সম্মাননা পেয়ে অনুভূতি জানাতে গিয়ে পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক বলেন।

নিজ এলাকায় ব্যতিক্রমী এই পুজার আয়োজন করায় মারুতী সংঘের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান মাধবপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বকুল চন্দ্র ঋষি।
মারুতি সংঘের সভাপতি জানায়, মানুষে মানুষে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতেই তারা হনুমান পূজার আয়োজন করেছেন।