
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ের এড হক কমিটিতে সভাপতি হবার ইচ্ছেপোষন করলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী গোলাম মাওলা ভুইয়া। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে একটানা ৩ বারের অভিভাবক প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের ভোলাচং নবীপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন । তার পিতা মরহুম আব্দুল আজিজ ভুইয়া ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। যিনি জীবদ্দশায় শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন। কাকা মরহুম হাবিবুর রহমান ওরফে নাবালক ভুইয়া ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন বারের সভাপতি ছিলেন ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বাবা ও কাকার দেখানো আদর্শকে ধরে রাখতে তিনিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন সহ শিক্ষা বিস্তারে প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিএনপির অনুসারী তিনি। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা থাকায় বর্তমানে তিনি পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। দুনখজনক হলেও সত্য, বিএনপির রাজনীতি করায় বিগত আওয়ামীলীগের শাষনামলে মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকবার। তারপরেও থেমে থাকেনি জনসেবায় সামাজিক সাংস্কৃতিক কার্য্যক্রম।
এলাকাবাসীর মতে সরকার বিরোধী দলের হয়েও বিগত দিনে ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ বারের অভিভাবক প্রতিনিধি হওয়াটা তার ব্যক্তি জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রমান করে। অবশ্য এর জন্য পোহাতে হয়েছে বহু ঝড়। তিনি ছাত্র আন্দোলনের সময় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেন কয়েকদিন। পরে আওয়ামী শাষন পতনের একদিন পর অর্থাৎ গত ৬ আগষ্ট তিনি মুক্ত হন।
এদিকে সভাপতি হতে পারলে ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রসারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া সহ নানান পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি ইভটিজিং মুক্ত হয়েছে। অভিভাবকদের অংশগ্রহণে অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন ছিলো তার পরিকল্পনার অংশ। তিনি স্বপ্ন দেখেন পৌর এলাকার এই হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা একদিন উপজেলার সেরার তালিকায় নাম লিখাবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সরকারের পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০ আগস্ট সব বেসরকারি স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডি এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদের অপসারণ করেন।একইসাথে শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে সকল শিক্ষা বোর্ডকে সেসব প্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক বা অস্থায়ী কমিটি গঠনের মাধ্যমে আগামী ৬ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়।