ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবীনগরে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে ‘পার্টনার’ কংগ্রেস” নবীনগরে শুরু হচ্ছে ‘লাখ টাকার গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর জমজমাট কোয়ার্টার ফাইনাল নবীনগরে মালবাহী ট্রাকের চাপেই ভেঙে পড়ল আরসিসি ব্রিজ, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ নবীনগরে ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির গতি বাড়াতে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নবীনগরে শ্যালকের হামলায় দুই বোনজামাই হাসপাতালে নবীনগরে সার্বজনীন গ্রুপের ‘ফ্রি অলরাউন্ডার প্রশিক্ষণ’ কর্মশালার সপ্তম ক্লাস অনুষ্ঠিত নবীনগর সার্বজনীন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মুখপাত্র হলেন জামাল হোসেন পান্না গোপালপুর দক্ষিণ কবরস্থানের উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন ঈদে বাড়ি ফেরার পথে মেঘনায় প্রাণ গেল বউ-শাশুড়ির নবীনগরে ঈদের জামাত শেষে মুসল্লীদের সাথে ইউএনও রাজীব চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময়
নোটিশ :

✍️সংবাদদাতা আবশ্যক👉'দেশ বিদেশ নিউজ ২৪.কম' এর জন্য জরুরী ভিত্তিতে দেশের প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে।আগ্রহীরা মেইলে যোগাযোগ করুন।

নবীনগর ইউনিয়ন কৃষক দলের কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:৩০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

নবীনগর ইউনিয়ন কৃষক দলের অর্থের বিনিময়ে পকেট কমিটি করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। এ নিয়ে তৃণমূল বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক জহুরুল হক জরু অর্থের বিনিময়ে উনার নিজস্ব পকেটের লোককে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এছাড়াও বিগত দিনে যারা ত্যাগী ও আন্দোলনের সক্রিয় ছিল তাদেরকে না দিয়ে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে উনি ওনার একক সিদ্ধান্তে পছন্দের লোককে কমিটিতে বসাচ্ছেন। সম্প্রতি ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন কমিটিকে কেন্দ্র করে উঠে আসে এসব তথ্য।
উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল হক পলাশ ও সদস্য হালিম প্রতিবেদককে জানান, জোরু মিয়া অর্থের বিনিময়ে উনার পছন্দের লোককে কমিটিতে বসাচ্ছেন। উনি যেই নুরু মিয়াকে দিতে চাচ্ছেন সে কখনোই বিএনপির কর্মী ছিল না। নুরু মিয়া বিগত ফেসিস্ট সরকার ঘেসা লোক ছিল। শুধু তাই নয় ইব্রাহিমপুর ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সদস্যও ছিল বলে জানতো অনেকেই ।

এছাড়াও আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তার দুই ছেলেকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বসিয়ে ইব্রাহিমপুরে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। এমন একটি বিতর্কিত লোককে ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক দিলে পুরো বিএনপি’র বদনাম হবে বলে আমরা মনে করি। এ ব্যাপারে নুরু মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জহিরুল হক জরুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, পলাশ ও হেলাল মিলে অর্থের বিনিময়ে তাদের পছন্দের লোককে বানানোর পাঁয়তারা করছে। এর আগেও জাতীয় পার্টির শেখ সাদীকে আহবায়ক বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল এরা । তাছাড়া এরা জেলাতে ও ঢাকায় দৌড়াদৌড়ি করছে বলে আমার কাছে খবর আছে। আমাদের উপরের নির্দেশ আছে বিগত দিনে বিএনপিতে যারা সক্রিয় ছিল এদেরকে দিয়েই যেন কমিটি করা হয়। যাকে বানাতে চাচ্ছেন সেই নুরু মিয়া নাকি আপনার শ্যালক হয় এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইব্রাহিমপুর যেহেতু আমার শ্বশুরবাড়ি সকলেই আমার আত্মীয়। তবে যারা বিগত দিনে বিএনপিতে ২৪ আগস্টের আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তাদেরকেই কমিটিতে রাখা হবে। উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক পলাস সহ ওই গ্রামের অন্যান্য যে সদস্যরা আছেন তাদের মতামতের কি কোন প্রয়োজন নেই? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এদিকে জেলা কৃষক দলের সভাপতি আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ ( ভিপি শামীম) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সকলকে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, বিগত সময়ে বিএনপিতে যারা সক্রিয় ও ত্যাগী নেতাকর্মী ছিল এবং ২৪ আগস্টএ যারা আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে তাদেরকে যেন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ব্যাপ্তয় ঘটলে কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নবীনগরে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে ‘পার্টনার’ কংগ্রেস”

নবীনগর ইউনিয়ন কৃষক দলের কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:৩০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

নবীনগর ইউনিয়ন কৃষক দলের অর্থের বিনিময়ে পকেট কমিটি করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। এ নিয়ে তৃণমূল বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক জহুরুল হক জরু অর্থের বিনিময়ে উনার নিজস্ব পকেটের লোককে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এছাড়াও বিগত দিনে যারা ত্যাগী ও আন্দোলনের সক্রিয় ছিল তাদেরকে না দিয়ে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে উনি ওনার একক সিদ্ধান্তে পছন্দের লোককে কমিটিতে বসাচ্ছেন। সম্প্রতি ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন কমিটিকে কেন্দ্র করে উঠে আসে এসব তথ্য।
উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল হক পলাশ ও সদস্য হালিম প্রতিবেদককে জানান, জোরু মিয়া অর্থের বিনিময়ে উনার পছন্দের লোককে কমিটিতে বসাচ্ছেন। উনি যেই নুরু মিয়াকে দিতে চাচ্ছেন সে কখনোই বিএনপির কর্মী ছিল না। নুরু মিয়া বিগত ফেসিস্ট সরকার ঘেসা লোক ছিল। শুধু তাই নয় ইব্রাহিমপুর ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সদস্যও ছিল বলে জানতো অনেকেই ।

এছাড়াও আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় তার দুই ছেলেকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বসিয়ে ইব্রাহিমপুরে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। এমন একটি বিতর্কিত লোককে ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক দিলে পুরো বিএনপি’র বদনাম হবে বলে আমরা মনে করি। এ ব্যাপারে নুরু মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জহিরুল হক জরুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, পলাশ ও হেলাল মিলে অর্থের বিনিময়ে তাদের পছন্দের লোককে বানানোর পাঁয়তারা করছে। এর আগেও জাতীয় পার্টির শেখ সাদীকে আহবায়ক বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল এরা । তাছাড়া এরা জেলাতে ও ঢাকায় দৌড়াদৌড়ি করছে বলে আমার কাছে খবর আছে। আমাদের উপরের নির্দেশ আছে বিগত দিনে বিএনপিতে যারা সক্রিয় ছিল এদেরকে দিয়েই যেন কমিটি করা হয়। যাকে বানাতে চাচ্ছেন সেই নুরু মিয়া নাকি আপনার শ্যালক হয় এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইব্রাহিমপুর যেহেতু আমার শ্বশুরবাড়ি সকলেই আমার আত্মীয়। তবে যারা বিগত দিনে বিএনপিতে ২৪ আগস্টের আন্দোলনে সক্রিয় ছিল তাদেরকেই কমিটিতে রাখা হবে। উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক পলাস সহ ওই গ্রামের অন্যান্য যে সদস্যরা আছেন তাদের মতামতের কি কোন প্রয়োজন নেই? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এদিকে জেলা কৃষক দলের সভাপতি আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ ( ভিপি শামীম) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সকলকে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, বিগত সময়ে বিএনপিতে যারা সক্রিয় ও ত্যাগী নেতাকর্মী ছিল এবং ২৪ আগস্টএ যারা আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে তাদেরকে যেন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ব্যাপ্তয় ঘটলে কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হবে।