
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম বাজারে গতকাল বুধবার দিনে দুপুরে দোকানে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলার একদিন পরও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
গুরুতর আহত পরিমল কর্মকার (৫০) নামের ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর ডিসির নির্দেশে নবীনগরের ইউএনও রাজীব চৌধুরী ও ওসি আবদুর রাজ্জাক গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আহত পরিমল কর্মকারের বাড়িতে ছুটে যান।
ঘটনাস্থল ঘুরে এসে ইউএনও রাজীব চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন,’ডিসি স্যারের নির্দেশে আমি আর ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে ‘
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে বারটার দিকে শ্যামগ্রাম বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিমল কর্মকার ও তার ছোটভাই প্রবীর কর্মকারের উপর ওই সন্ত্রাসী হামলা হয়। ওইসময় কয়েকজন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত আচমকা দোকানে ঢুকে হামলা চালিয়ে পরিমল কর্মকারকে মারধর করতে থাকে। সেসময় ৯৯৯ এ কল দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই দুর্বৃত্তরা দোকান মালিকের মাথা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দোকান মালিকের ছোটভাই প্রবীর কর্মকার (৪৫) বলেন,’গত দেড় বছর আগে গ্রামে আমাদের বাড়ি থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি অষ্ট্রেলিয়ান গাভী চুরি হয়। পরে এ নিয়ে থানায় মামলা করার পর পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। কিন্তু পরে তারা জেল থেকে ছাড়া পায়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়া সেই কুখ্যাত চোর শাহ আলম ও জুয়েলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমাদের স্বর্ণের দোকানে এই হামলা চালায়।’
নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন,’ঘটনার পরপরই হামলাকারীরা পালিয়েছে। তবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে বুধবার থেকেই পুলিশী অভিযান চলছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’