ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবীনগরে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে ‘পার্টনার’ কংগ্রেস” নবীনগরে শুরু হচ্ছে ‘লাখ টাকার গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর জমজমাট কোয়ার্টার ফাইনাল নবীনগরে মালবাহী ট্রাকের চাপেই ভেঙে পড়ল আরসিসি ব্রিজ, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ নবীনগরে ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির গতি বাড়াতে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নবীনগরে শ্যালকের হামলায় দুই বোনজামাই হাসপাতালে নবীনগরে সার্বজনীন গ্রুপের ‘ফ্রি অলরাউন্ডার প্রশিক্ষণ’ কর্মশালার সপ্তম ক্লাস অনুষ্ঠিত নবীনগর সার্বজনীন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মুখপাত্র হলেন জামাল হোসেন পান্না গোপালপুর দক্ষিণ কবরস্থানের উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন ঈদে বাড়ি ফেরার পথে মেঘনায় প্রাণ গেল বউ-শাশুড়ির নবীনগরে ঈদের জামাত শেষে মুসল্লীদের সাথে ইউএনও রাজীব চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময়
নোটিশ :

✍️সংবাদদাতা আবশ্যক👉'দেশ বিদেশ নিউজ ২৪.কম' এর জন্য জরুরী ভিত্তিতে দেশের প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে।আগ্রহীরা মেইলে যোগাযোগ করুন।

ধইনচা ক্ষেতে মিললো পাঁচ সন্তানের জননীর লাশ!

ঘটনাটি ঘটেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর উপজেলার বুড়বুড়িয়া নামক গ্রামে। আনুমানিক ২৫ বছরের সংসার একই জেলার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে রাহেলা খাতুনের। পারিবারিক সূত্রমতে, ২৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাহেলার বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী উপজেলা বাঞ্চারামপুরের বুড়বুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আপন ফুফাতো ভাই ওয়াজেদের সাথে। বিয়ের পর থেকেই নানান বিষয়ে সাংসারিক ঝামেলা লেগেই থাকতো! এরমধ্যে রাহেলা চার কন্যা ও এক ছেলে সন্তানের মা হয়।

বছর তিনেক আগে একমাত্র ছেলে ইউসুফ ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে, বাবা মা’র অগোচরে বিয়ে করে। বিয়ের পরপর ছেলেকে ছেলের বৌসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয় রাহেলার স্বামী ওয়াজেদ। এই নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা লেগে থাকতো। বরাবরের মতো গত ২৩ মে দিনভর রাহেলা ও স্বামী ওয়াজেদের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে রাহেলাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া যায় বাড়ির আশেপাশের লোকজনের কাছে। ২৪ মে সকাল থেকে রাহেলাকে খোঁজে না পাওয়ার কথা জানান রাহেলার স্বামী ও শ্বাশুড়ি। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর দুপুর আনুমানিক ৩-টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ধইনচা ক্ষেতে রাহেলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে রাহেলার একমাত্র ছেলে ইউসুফ। লাশের পাশে কেড়ির বড়ি রাখা! পরে পুলিশ এলে, পুলিশ লাশের সাময়িক তদন্তে দেখতে পায় লাশের চেহারা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে। চোখেও আঘাতেন চিহ্ন!

এতে করে রাহেলাকে তার স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে খুন করেছে বলে ধারণা এলাবাসী অনেকেই। রাহেলার নিখোঁজের খবরে ছুটে যাওয়া রাহেলার ছোটভাই দানেশ মিয়া আমার বোনের জামাই ওয়াজেদ ও তার মা মিলে আমার বোনকে বিভৎসভাবে খুন করে কেড়ির বড়ি খেয়ে মারা গেছে বলে চালিয়ে দিতে চায়! আমরা খুনি ওয়াজেদ ও তার মা’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে বাঞ্চারামপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে জানান, লাশ থানায় এনে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং স্বামী ওয়াজেদকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও লিখিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নবীনগরে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে ‘পার্টনার’ কংগ্রেস”

ধইনচা ক্ষেতে মিললো পাঁচ সন্তানের জননীর লাশ!

আপডেট সময় ০৩:২৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

ঘটনাটি ঘটেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর উপজেলার বুড়বুড়িয়া নামক গ্রামে। আনুমানিক ২৫ বছরের সংসার একই জেলার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে রাহেলা খাতুনের। পারিবারিক সূত্রমতে, ২৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাহেলার বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী উপজেলা বাঞ্চারামপুরের বুড়বুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আপন ফুফাতো ভাই ওয়াজেদের সাথে। বিয়ের পর থেকেই নানান বিষয়ে সাংসারিক ঝামেলা লেগেই থাকতো! এরমধ্যে রাহেলা চার কন্যা ও এক ছেলে সন্তানের মা হয়।

বছর তিনেক আগে একমাত্র ছেলে ইউসুফ ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে, বাবা মা’র অগোচরে বিয়ে করে। বিয়ের পরপর ছেলেকে ছেলের বৌসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয় রাহেলার স্বামী ওয়াজেদ। এই নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা লেগে থাকতো। বরাবরের মতো গত ২৩ মে দিনভর রাহেলা ও স্বামী ওয়াজেদের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে রাহেলাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া যায় বাড়ির আশেপাশের লোকজনের কাছে। ২৪ মে সকাল থেকে রাহেলাকে খোঁজে না পাওয়ার কথা জানান রাহেলার স্বামী ও শ্বাশুড়ি। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর দুপুর আনুমানিক ৩-টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ধইনচা ক্ষেতে রাহেলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে রাহেলার একমাত্র ছেলে ইউসুফ। লাশের পাশে কেড়ির বড়ি রাখা! পরে পুলিশ এলে, পুলিশ লাশের সাময়িক তদন্তে দেখতে পায় লাশের চেহারা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে। চোখেও আঘাতেন চিহ্ন!

এতে করে রাহেলাকে তার স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে খুন করেছে বলে ধারণা এলাবাসী অনেকেই। রাহেলার নিখোঁজের খবরে ছুটে যাওয়া রাহেলার ছোটভাই দানেশ মিয়া আমার বোনের জামাই ওয়াজেদ ও তার মা মিলে আমার বোনকে বিভৎসভাবে খুন করে কেড়ির বড়ি খেয়ে মারা গেছে বলে চালিয়ে দিতে চায়! আমরা খুনি ওয়াজেদ ও তার মা’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে বাঞ্চারামপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে জানান, লাশ থানায় এনে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং স্বামী ওয়াজেদকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও লিখিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।